জ্যোছনা ও জননীর গল্প
সনি আট এ একটা প্রোগ্রাম হয়। ক্রাইম পেট্রোল। মা রোজ বিকেলে এটা দেখে। আমি বিরক্ত হই। কি দরকার দেখার?অযথা টেনশন নাও আরেকজনের। তোমার নিজের কি টেনশন কম??
.
মা হাসে। জবাব দেয়না।মাঝে মাঝে বলে দেখতে ভালো লাগে। তাই দেখি।
.
একসময় খেয়াল করলাম ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়। মায়েরা টেনশন নিতে খুব পছন্দ করে। আর যখন টেনশনের কিছু থাকেনা তখন তারা নিজেরাই নিজেদের টেনশন তৈরী করে নেয়।
.
আমি বরাবর ই মায়ের উল্টো। টেনশন নিতে অপছন্দ করি। ছোটবেলায় ঠিক বুঝতাম না কিসে টেনশন হতে পারে। তাই রোজ রোজ পেপার পড়তাম। ভয়ানক সব নিউজ পড়ে ভাবতাম সত্যি কি এমন হয়! এসব কি সত্যি! একসময় বড় হলাম।বুঝতে পারলাম। আল্লাহর দুনিয়ায় কত ঝকমারি। কত বৈচিত্র্য।
.
সেই থেকে শুরু। পেপারের ফাস্ট পেইজটা পড়তে মন চাইতনা আর। ব্যাপারটা যত এড়ানো যায় ততোই যেন শান্তি।
.
মজার ব্যাপার হলো কলেজে উঠার পর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো নাটক,সিনেমা দেখা বা গল্পের বই পড়া খুব কম ই হয়েছে। কারণ টা সেই আগের মতোই। টেনশন নিতে পারিনা।
.
শেষ সিনেমা দেখেছিলাম “জয়যাত্রা”। এখনো মনে আছে। সেদিন বিকেলে যখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই আমার মনে হতে থাকে এই বুঝি খুব খারাপ কিছু ঘটতে চলল। পুরো সিনেমাটা দেখার সাহস আর হয়ে উঠেনা। সেই শেষ।
.
অনেকদিন পর নিজেকে খুব টেনশন দিতে শখ হচ্ছিল। মোটাসোটা একটা বই তাই হাতে করে নিয়ে আসি।
.
“জ্যোছনা ও জননীর গল্প”
.
কিছু পাতা পড়েছি। আরো অনেকটা বাকী। তার আগেই বই টা নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো।
.
বড় সুন্দর একটা বই। বড় সুন্দর। পড়তে ইচ্ছে করছেনা। পড়লেই শেষ হয়ে যাবে। শেষ করতে ইচ্ছে করছেনা।
.
স্বাধীন একটা দেশে আছি। স্বাধীনভাবে আছি। সৃষ্টিকর্তার কি অশেষ কৃপা। কি অশেষ কৃপা।ধন্যবাদ জাতির পিতা।এই অসাধারণ দেশের মানুষগুলোকে একটি অসাধারণ স্বাধীন দেশ উপহার দেবার জন্য।