বুকশেলফ
--
কিছু কিছু রাত আমি একা কাটাতে চাইনা। খুঁজে খুঁজে পুরোনো বন্ধুদের বের করে ফেলি। কেউ কথা বলে কেউ বলেনা। বাকি সময় যেন কাটেই না আমার। এতো ব্যস্ততার মাঝেও কেমন হোপলেস হয়ে যাই। আমার পাশে থাকে ইয়ারফোন। আমি সেদিকে নজর দেইনা। আমার হঠাৎ কষ্ট পেতে ইচ্ছা করে। আমি ভেবে ভেবে বের করে ফেলি কিসে বুকে চিনচিন ব্যথা হয়।
আমি বাবার কথা ভাবি। বাবার সাথে কথা হয়না অতোশতো। সারাটা সময় শুধু নিয়েই যাওয়া। দেওয়া আর হয়ে উঠেনা। তার বিশ পঁচিশ সেকেন্ডের ফোনকল আমার কাছে তাই মায়ার লাগে। অনেক মায়ার।
আমি ভাবি পাশের বাড়ির সেই মেয়েটার কথা। প্রেমিকের কথা ভেবে ওই যে ট্রেনের নিচে পড়লো। আমার মাথায় সব বিঁধে বিঁধে থাকে। আমি প্রবল ভালোবাসা নিয়ে তাকে ভাবি। কষ্ট পাই।
আমি সেই সকাল গুলোর কথা ভাবি। যখন ঘুম থেকে উঠবার তাড়া ছিলনা। সহজ ধ্রুবক একটা নিয়ম ছিল। ভোরের বাতাস যখন আলো দিতো আমার কাঁধে।
আমি যখন কোনো কারণ ছাড়াই খুশি হতাম।
আমি ভাবি প্রিয় বন্ধুদের কথা। প্রিয় বন্ধু আছে তার প্রাক্তন আর বন্ধুদের নিয়ে। ভালোবাসা চলে গেছে অনেক আগেই। বুড়ো হয়ে যাই এই ভেবে কিছুই তো দেখা হলো না। মেধাবী বন্ধুরা তখন স্টাডিতে ব্যস্ত। অশিক্ষিত রা ডেড বডিতে নাচে। পেটায়। শিক্ষিতরা মজা লুটে নেয়। দেশ ছেড়ে পালায়। আমি আধ মরা হয়ে পড়ে থাকি আর ভাবি। আর। কষ্ট ও পাই।
আমি ভাবি ইভা গ্রিনের কথা। নাটকে আর মঞ্চে শো অফের পোল ডান্স। মেয়েগুলো কেমন ছুটে চলেছে দেখো। বাড়াবাড়ি করি তাই। রাগ হয়। কান্না আসে। আমি তবু ভাবি। এতো আবেগ দিয়ে হয় নাকি। সহ্যের বাইরে চলে যায় সব।
আশা হারাই।
আর মেকি ভালোবাসা আর আদরে আদরে ভরে যায় আমার ড্রয়ার, প্লেলিস্ট আর বুকশেলফ।