রুমি
--
-তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনি সেখানে ছিলেন না?
সাব ইন্সপেক্টর এবার নিজেই কনফিউজড হয়ে গেলেন। এলাকার লোকজন সবাই কি তবে মিথ্যে কথা বলছে?
-স্যার ব্যাপারটা সুবিধের লাগছেনা। শুধু একজনের কথায় এতো বড় করে ব্যপারটা ভাবা উচিত নয়।
ইন্সপেক্টর জাহিদ তাই বেশি একটা ঘাটালেন না। উনি রুমি কে ডেকে পাঠালেন।
- আপনি ও বিশ্বাস করলেন না স্যার, তাই তো?
জাহিদ এমনিতে খুব কড়া। কিন্তু এতো সুন্দর সহজ একটা মেয়ে তাকে বোকা বানাবে তা তিনি মানতেই পারলেন না।
-আপনি শিউর? রোজ রাতে ওই বাড়ি থেকেই কেউ আপনাকে দেখে? আমিতো খোঁজ নিলাম। সবাই বললো। ও বাড়িতে কেউ থাকেনা। তাছাড়া আমি নিজে ভেতরে গিয়ে দেখে এসেছি। বাসার যা অবস্থা কেউ চাইলেও থাকতে পারবেনা। আপনি ভুল বুঝেছেন।
রুমি চুপ করে রইলো।
-আপনি কিছুদিন অন্যকোথাও থেকে ঘুরে আসুন। এরপরো যদি এমন কিছু মনে হয় আমরা তো আছি ই।
- থাক স্যার। তা লাগবেনা।আপনি যখন বলছেন আমি হয়তো ভুল ই দেখেছি।
জাহিদ কিছু বলার আগেই রুমি উঠে চলে গেলো।
অনেক রাত। রুমির একা একা লাগছে। ও
বারান্দায় গেলো।ওপাশের বারান্দা থেকে কেউ একজন বলে উঠলো।
- কি হলো রুমি? ঘুম পাচ্ছেনা?
রুমি চুপ করে রইলো।
- কি? কথা বলবেনা?
-আপনি চলে যান।আমার ভালো লাগছেনা আর আপনাকে। রুমি মনে মনে বললো।
-তুমি এক কাজ করো। ছাদে যাও। ভালো লাগবে।
রুমি কোন কথা না বলে ছাদে চলে গেলো। লোকটা কিভাবে এখানে চলে এসেছে রুমি জানেনা।ও শুধু জানে ওর ভালো লাগছেনা কিছু।
লোকটা ওকে জরিয়ে ধরলো।রুমি যেন কিছুই জানেনা। কিছুই বুঝতে পারছেনা।
ও লোকটার হাত ধরে ছাদের একদম নিচে তাকালো। ওর এখন ভালো লাগছে। অনেক।
পরদিন জাহিদের কাছে আবার ফোন এলো। দশ নাম্বার বাড়ির নিচে একটা ডেডবডি পাওয়া গেছে।রুমির বাড়ি ওদিকেই। তিনি ওকে একটা ফোন দিলেন। কেউ ধরছেনা।
বাড়িটার নিচে এসে জাহিদ ভীর দেখতে পেলেন। ঘাবড়ে গেলেন কিছুটা। ওর কিছু হয়নিতো?
তিনি ক্রমাগত ফোন দিতে থাকলেন রুমিকে। ভীর ঠেলে ডেডবডির কাছে গেলেন।লাল শার্ট। সাথে মোবাইল। স্ক্রিনে লোকটার খুব ক্লোজ শটের একটা ছবি। ওয়ালপেপার লক করা।বাজছে।
জাহিদ ফোনটা হাতে নিলেন।
স্ক্রিনে জাহিদের নাম্বার ভেসে উঠছে। টানা।