হারাম
--
লাল দালানের পাশে নিয়েছি বাড়িটা। আমি একা মানুষ।
লোকালয় ছেড়ে ঘুরে বেড়াই রাস্তাঘাট জুড়ে। আমজনতা আমার উপহাস করে। আর আমি তাদের গল্পের ভিলেন হয়ে যাই রাতারাতি। আমার রাত জাগা তারার সাথে এলোপাথাড়ি ঝগড়া হয়।
- কি ভাই? রাস্তাঘাটে মাগনা পাইছেন নাকি? আরে সরেন মিয়া সরেন।
আমি পেছনে তাকাই। কুকুরটা ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাইনা।
আমি আবার শুনি।
- কি মিয়া, গাঞ্জা খান নাকি? কথা কানে যায়না? আরে সরেন মিয়া!
আমি কতক্ষন ভাবি। আমার কি হ্যালুসিনেশন হচ্ছে? আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি?
- আরে ভাই আপনি পাগল হবেন ক্যান? পাগল হইছি আমরা। রাতবিরাতে আপনাগো জ্বালায় ঘুমাইতে পারিনা। পুলিশের লাত্তি খাই। ফকিন্নির লাত্তি খাই। কিন্তু খাওন পাইনা।
আমি হাহা করে হাসতে থাকি। আরে বলে কি? পাগল নাকি কুকুরটা? কিন্তু এই কুকুর এর ভ্যালু আছে মনে হচ্ছে। কথা বলতে জানে।
আমি ডাকি
- এই কুত্তা, আয় তোকে রান্না করে খাওয়াই।
কুকুরটা যেন প্রশ্ন পায়না। আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকে।
তারপর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে।
- আরে রাখ তোর হারাম খাওয়া। আমার বন্ধু জগলু কুত্তা সামনের দোকানেই বইসা আছে। সর এহন।
আমি কুকুরটাকে জায়গা দেই। কি বললো ও? আমি হারাম খাই? সবাই খায় আর আমি একা খেলে দোষ?
আমি বেনসনের প্যাকেটটা পকেট থেকে বের করি। ড্রাইভারকে একটা ফোন দেই। ওর মাইনে দেবার সময় চলে গেছে। আজ মাসের বিশ তারিখ। দেওয়া হয়নি। ও ও কিছু বলেনা। আমি ওকে ফোন দিই। আমার কানে বাজতে থাকে।
“আরে রাখ তোর হারাম খাওয়া।”
বারবার বাজতে থাকে।